অগ্নিমূল‍্য বাজার : লক্ষী আরাধনার জোগাড় করতে গিয়ে নাভিশ্বাস গৃহস্থের

29th October 2020 4:45 pm মালদা
অগ্নিমূল‍্য বাজার : লক্ষী আরাধনার জোগাড় করতে গিয়ে নাভিশ্বাস গৃহস্থের


দেবাশীষ পাল ( মালদা ) :  রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্ণীপুজো। আর পুজোর আগে অগ্নিমূল্য বাজার। আনাজপাতির দাম আগুন। ছ্যাঁকা খাওয়ার জোগাড় মধ্যবিত্তেরা। কাটছাঁট করে পুজোর বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে গৃহিনী, গৃহকর্তাদের। শহরের চিত্তরঞ্জন মার্কেট থেকে মকদমপুর ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র মার্কেট, পুড়াটুলি সদরঘাট বাজার থেকে নেতাজি পুর বাজার-‌সব জায়কায় পুজোর নিত্য সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া। এমনিতে পুজোর মাস। সদ্য দুর্গা পুজোর বড় ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা। তার মধ্যে পুজোর ফল-‌মূল থেকে পুজোর প্রয়োজনীয় সামগ্রীর উর্ধ্বমুখী দাম, চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। শুক্রবার কোজাগরী লক্ষ্ণীপুজো। স্বাভাবিক ভাবে বৃহস্পতিবার ছিল কেনাকাটার ভিড়। অস্থায়ী ভাবে বসা ফোয়াড়া মোড়ের বাজারেও কেনাকাটার ভিড়টাও ছিল বেশ। বাজারগুলি ঘুরে দেখা গেল আপেলের দাম কিলোগ্রাম প্রতি ৮০-‌১২০ টাকা, ন্যাসপাতি ১২০ টাকা, মুসাম্বির দাম কিলোগ্রাম প্রতি ৭০-‌৮০ টাকা, মিষ্টি আলু ৮০ টাকা, শাখা আলু ৮০ টাকা, পানিফল কিলোগ্রাম প্রতি ১০০ টাকা, পেয়ারা ৬০ টাকা, ছোট পুজোর ডাব ২০ টাকা করে। কলার থোকা(‌‌এক সঙ্গে ১২-‌১৫টি)‌‌৫০-‌৭০ টাকা, বেদানা কিলোগ্রাম প্রতি ১০০-‌১২০ টাকা, নারিকেল ৩০ টাকা থেকে শুরু। আবার শসার দাম এদিন ৬০ টাকা, বাঁধাকপি একেকটির দাম ৫০ টাকা, ফুলকপি আবার কিলোগ্রাম প্রতি ১০০-‌১২০ টাকা। কিংবা ৩০ টাকা পিস। এক বিক্রেতা রাম মন্ডল বলেন, ‘‌লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজার প্রতি বছরই আগুন হয়ে ওঠে। এবার একটু বেশিই বলা চলে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের কাজ কেনা আর বেচা। আমরা যেভাবে পাইকারি দরে কিনে নিয়ে আসি, সেই হারে খোলা বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু এই দাম বাড়া নিয়ে ক্রেতাদের কাছে কথাও শুনতে হয়।’‌





Others News